বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম বারের মতো একদিনে একশো’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জন মারা গেছে, যা একদিনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ ও ৩৪ জন নারী – যাদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৯৪ জন, আর বাড়ীতে মারা গেছেন বাকী ৭ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ১৮২ জনের মৃত্যু হলো।
দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে কারও মৃত্যুর কথা সর্ব প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল গত বছরের ১৮ই মার্চ। তবে এই ১৩ মাসে মৃতের সংখ্যা এর আগে কখনোই তিন অংক ছোঁয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪,৪১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা হলো ৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মোট ২৫৭টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৯০৬ জনের। দেখা গেছে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২৩.৩৬ শতাংশ।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫,৬৯৪ জন।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ০২ হাজার ৯০৮ জন।
বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন যাবৎ করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে দেশটিতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে কাউকে শনাক্ত করার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ।
এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল।
তবে এ বছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একই সাথে বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও।
যদিও গত কয়েকদিনে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে এসেছে।
চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
মূল নিবন্ধঃ করোনা ভাইরাস: বাংলাদেশে মৃত্যু দিনে প্রথম বারের মতো ১০০ পেরুলো, বেড়েছে সংক্রমণের হারও